অবশেষে ভারতের মাটিতে খেলার ছাড়পত্র পাচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা!

লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেট (LLC) এর দ্বিতীয় সিজন ভারতের ৬টি শহরে খেলা হবে যাতে প্রচুর দেশের খেলোয়াড়রা অংশ নেবেন। এই বছরের জানুয়ারিতে ওমানে তিনটি দল ইন্ডিয়া মহারাজা, ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস এবং এশিয়া লায়ন্সের মধ্যে লিগের প্রথম মরশুম

খেলা হয়েছিল এবং এতে ৭টি ম্যাচ হয়। তবে, সিজন ২-এ চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাধীন দল থাকবে। এবার ১৫টি ম্যাচ হবে, যা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়টি শহরে- কলকাতা, লখনউ, দিল্লি, যোধপুর, কটক এবং রাজকোটে খেলা হবে।

প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও নিশ্চিত করেছেন যে তিনি এলএলসি-এর একটি বিশেষ ম্যাচে অংশ নেবেন। সৌরভ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘স্বাধীনতার উৎসবের জন্য এককালীন চ্যারিটি ফান্ডিং ম্যাচ

খেলতে প্রস্তুত। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং কিংবদন্তি লিগ ক্রিকেটের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে, নারীর ক্ষমতায়নের প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। আয়োজকদের সামনে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হল পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ভিসার প্রাপ্যতা।

বিসিসিআই বা ভারত সরকার পাকিস্তানের সাথে তাদের ক্রিকেট সম্পর্কের বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত ও পাকিস্তান প্রায় এক দশক ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি এবং দুই দেশের মধ্যে

রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে তারা শুধুমাত্র এশিয়া কাপ এবং আইসিসি ইভেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হয়। ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রথম আসর ছাড়া পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা অংশ নিতে পারেনি। পরিস্থিতি সম্পর্কে

জানতে চাইলে বিসিসিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ভিসা ইস্যু সম্পর্কে তেমন সচেতন নন। ওই কর্মকর্তা আইএএনএস-কে বলেন, ‘আমি বেশি কিছু বলতে পারছি না। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আমাদের সরকারের কাছ থেকে ভিসা পেলে খেলবে।

টুর্নামেন্ট বা ভিসার বিষয়ে আমাদের (বিসিসিআই) কোন ভূমিকা নেই। অন্য একজন কর্মকর্তা প্রশ্ন করেছেন, “পাকিস্তানের সাথে আমাদের কোন ক্রিকেটীয় সম্পর্ক না থাকা অবস্থায় পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভারতের মাটিতে খেলার অনুমতি কিভাবে দেওয়া

যায় সেটা ভাবার বিষয়। আমি নিশ্চিত নয় তারা ভিসা পাবে কিনা। এলএলসি সিজন ২-এ শোয়েব আখতার, মিসবাহ-উল হক, শহীদ আফ্রিদি এবং এশিয়া এবং বিশ্ব একাদশ দল সহ আরও অনেক সহ পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একটি দীর্ঘ তালিকা

রয়েছে। সুতরাং, ভিসা প্রদানের বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান জানতে সময় লাগবে।

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *