এবার আইসিসির নতুন নিয়মে কপাল খুলতে যাচ্ছে মাহমুদুল্লাহর!

অনেক নাটকীয়তার পর আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছিলো বিসিবি। ১৫ সদস্যের সেই দলে যায়গা হয়নি বাংলাদেশের সাইল্যান্ট কিলার খ্যাত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। অফ ফরররমের অজুহাতে দলথেকে তাকে সরিয়ে দেয় নির্বাচক মন্ডলি। কিন্তু মাহমুদুল্লাহকে দল থেকে সরিয়ে দলে আনা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। যে কিনা বাররার বাজে পারফর্ম করে

আসছিলো। বিসিবির হটাৎ এমন সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয় মাহমুদুল্লাহর ভক্তরা। তাকে দলে ফেরাতে আন্দোলন শুরু করে তারা। তবে ভক্তদের আন্দোলনের মাঝে একটি আশার বাণী দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দল ঘোষণা করা হলেও টাইগার ভক্তদের চাওয়ায় রিয়াদের ফেরার সুযোগ যে একেবারেই নেই এমনটা নয়। কেননা এবার বিশ্বকাপের তিনদিন আগ

পর্যন্তও খেলোয়াড় পরিবর্তনের সুযোগ রাখছে আইসিসি। মোটামুটি সব দেশের দল ঘোষণা হয়ে গেলেও খেলোয়াড় পরিবর্তনের সুযোগ রেখেছে আইসিসি। ইচ্ছে করলে স্কোয়াডের বেশির ভাগ খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো। প্রথম রাউন্ডের ছয় দল এবং সুপার টুয়েলভের আট দলের জন্য স্লট ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আইসিসির মিডিয়া ম্যানেজার রাজশেখর রাও জানান,

বাছাই রাউন্ডের দলগুলো ৯ থেকে ১৫ অক্টোবর খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে। সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলা দলগুলোর জন্য ১৫ থেকে ২১ অক্টোবর খেলোয়াড় পরিবর্তনের সুযোগ রেখেছে টুর্নামেন্ট কমিটি। অর্থাৎ বাংলাদেশ চাইলে নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ ও প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখার পর বিশ্বকাপ স্কোয়াড পুনর্বিন্যাস করতে পারবে।

বিশ্বকাপে রিজার্ভ ক্রিকেটার তিনজন সহ বিসিবি দল দিয়েছে ১৮ জনের৷ সেখানে যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে আরও ৭ জনের। কেননা ২৫ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে ক্রিকেটার নেওয়ার সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে দলে ফেরার সুযোগ থাকছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য এখনো দল ঘোষণা করেনি বিসিবি৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিসিবির কর্তা

জানিয়েছিলেন ত্রিদেশীয় সিরিজে রিয়াদকে দলে রাখতে ইচ্ছুক তারা। যদিও অবসরের জন্য সেই প্রস্তাব দেয়া, তবে রিয়াদ অবসরে যেতে চাননা। তিনি আরও দুই বছর টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যেতে চান। আর তাই তিনি যদি ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে যান এবং ভাল পারফর্ম করতে পারেন তবে ফিরতে পারেন মূল স্কোয়াডে। কেননা অধিনায়ক সাকিবও চান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

দলে ফিরুক। এদিকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আশা দেখতে পারেন সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী, শরিফুল ইসলামও। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যদি তারা ভালো পারফর্ম দেখাতে পারেন তবে জায়গা পাবেন মূল স্কোয়াডে। অন্যদিকে একইভাবে যদি

নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ, ওয়ার্মআপ ম্যাচে ভাল না খেলতে পারেন তবে বাদ পড়তে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত, নাসুম আহমেদের মতো ক্রিকেটাররাও। অর্থাৎ বর্তমান স্কোয়াডে থাকলেই যে সবাই বিশ্বকাপে খেলবেন এটা বলা অনিশ্চিত। কেননা

আইসিসি যেহেতু সুযোগ করে দিয়েছে তাই সেরা পারফর্মারদের খুঁজে নিতে অবশ্যই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে স্কোয়াডে পরিবর্তনও করতে পারে বিসিবি। তবে বেঁধে দেওয়া সময়ের পর ইনজুরি ছাড়া খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যাবে না।

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *