এবার ড্রোন বানিয়ে চমক সবুজের
চালকবি’হীন বিমান তৈরির পর এবার জমিতে কী;টনা’শক ছিটানো ড্রোন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গহীন গ্রামের বাসিন্দা সবুজ সরদার। অবাক করা এই ড্রোনটি দিয়ে অনায়াসে ২০ মিনিট আবাদি জমিতে কী’টনা’শক
ছি’টানো যায়। দূর থেকে রিমোট এবং জিপিএস’র মাধ্যমে ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। উন্নতমানের ড্রোন তৈরি করে কৃষি কাজে ব্যবহার উপযোগী করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন ভ্যানচালকের ছেলে সবুজ সরদার ।সবুজ
সরদার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পলি শিবনগর মহেশপুর গ্রামের ভ্যানচালক একরামুল সরদারের ছেলে। বন্ধুরা যখন খেলাধুলা আর আড্ডায় ব্যস্ত কিশোর সবুজ তখন ইলেকট্রনিকস জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া করতেন। ২০২১ সালে
এসএসসি পাস করে ভর্তি হয়েছিলেন দিনাজপুর শহরের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে। ভ্যানচালক বাবার সামান্য আয়ে সংসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাওয়ায় সবুজের পড়াশোনা বেশিদূর এগোতে পারেনি। তবে
থেমে থাকেনি সবুজের স্বপ্ন। শখ থেকেই মাত্র ৪৫দিনে মেধাবী এই শিক্ষার্থী একটি চা’লকবি’হীন ছোট বিমান তৈরি করে এলাকাবাসীকে তা’ক লা’গিয়ে দেন। মাত্র তিন মাসের প্রচেষ্টায় ড্রোন তৈরিতে সফল হন সবুজ। এই ড্রোন তৈরিতে খরচ হয়েছে
প্রায় ৩০ হাজার টাকা। সবুজের উদ্ভাবনী ক’র্মকা’ণ্ডে গর্বিত এ’লাকাবা’সী। তারা বলেন, ‘ছেলেটি মেধাবী এবং পরিশ্রমী, সরকারি সহায়তা পেলে হয়তো আরও ভালো কিছু করতে পারবে। প্রথম প্রথম ছেলের এসব কাজে বিরক্ত লাগত। সবাই সবুজের কাজের
প্রশংসা করায় অ’ভাব অ’নটন থাকলেও ছেলের উদ্ভাবনী কাজে সাধ্যমতো সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন সবুজের বাবা-মা। আরও পড়ুন: শাবি অধ্যাপকের উদ্ভাবন, স্থলজ পরিবেশেই হবে সামুদ্রিক শৈবাল সবুজের বাবা একরামুল সরদার
বলেন, ‘আমি গ’রিব মানুষ অনেক ক’ষ্ট করে সংসার চালাই। ছেলেটা যখন এসব জিনিসপাতি তৈরি করতো, তখন আমি ছেলের প্রতি খুব রা’গ করতাম। অনেক টাকা-পয়সা খরচ হতো। কিন্তু এখন বুঝেছি, ছেলে আমার দেশবাসীর উপকারের জন্য কাজ
করছে। আমি চাই ছেলে আমার আরও বড় মানুষ হোক, দেশের জন্য আরও কাজ করুক।’ সবুজ মনে করেন, সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান তার উদ্ভাবনী কাজে সহায়তা করলে ড্রোন তৈরির মাধ্যমে আবাদি জমিতে কী’টনা’শক ছি’টানো’সহ বিভিন্ন কাজে
ব্যবহার করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষির জন্য আমি আরও কিছু করতে চাই। যদি সরকারি-বে’সরকা’রিভাবে আমাকে সহযোগিতা করা হয় তাহলে দেশের জন্য কিছু আবিষ্কার করতে পারব।’ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে
মেধাবী এবং পরিশ্রমী সবুজ সরদার এ আবিষ্কার কৃষি প্রধান এ দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন চিরিরবন্দর উ’পজে’লার মানুষ।