এশিয়া কাপের দলে আসছে আরেক জন হার্ডহিটার ওপেনার
আলমের খান: বর্তমানে দেশের ক্রিকেটের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে এশিয়া কাপ। ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ সবারই একটা চাওয়া বিগত ম্যাচগুলোর পারফরমেন্স যাতে না হয় এবারের এশিয়া কাপে। এশিয়া কাপের
দলে সুযোগ পাননি সৌম্য সরকার, এটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা সমালোচনা হয়েছিল। তবে স্ট্যান্ডবাই তালিকায় সৌম্যকে রাখা হবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। তবে নির্বাচকদের রাতের ঘুম খোদ সৌম্য নিজেই হারাম করে দিচ্ছিলেন। এশিয়া কাপে স্ট্যান্ডবাই
তালিকায় যে ক্রিকেটারকে চিন্তা করা হচ্ছিল সে একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হয়েই চলছেন। বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই চরম অধারাবাহিক সৌম্যর ব্যাট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে শুরু করে ঘরোয়া লীগ কোথাও যেন সেই পুরনো সৌম্যকে দেখা যাচ্ছিল
না। সম্প্রতি এ দলের হয়ে সৌম্য দুটি ওয়ানডেতে রান করেছে যথাক্রমে ১৫ এবং ৬। নিঃসন্দেহে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন এই ক্রিকেটার। নিশ্চয়ই এই অবস্থায় থাকা একটি ক্রিকেটারকে এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে
নিতে চাইবে না কোনো দলই। তবে অবস্থা একসময় এমন দাঁড়ায় ইনজুরি জর্জরিত বাংলাদেশ দলে ১৫ জনের স্কোয়াড দাঁড় করাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছিল নির্বাচকদের। সে ক্ষেত্রে সৌম্যের চরম ও অধারাবাহিক পারফরমেন্সের পরও হয়তো এই
ক্রিকেটারকে দলের সাথে রাখতে হতো নির্বাচকদের। তবে আপাতত নির্বাচকদের সেই বিড়ম্বনা থেকে উদ্ধার করেছেন নাঈম শেখ। উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই ক্রিকেটার। খেলেছেন ১০৩
রানের অনবদ্য এক ইনিংস। নাঈমের এ পারফরমেন্সের প্রেক্ষিতে হয়তো সৌম্যর জায়গায় স্ট্যান্ডবাই হিসেবে নাঈমকেই চাইবেন নির্বাচকেরা। নুরুল হাসান সোহানও পুরোপুরি ফিট নয়। এশিয়া কাপের আগে সোহান পুরোপুরি ফিট না হতে পারলে
নাঈমকে তখন স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা লাগবে নির্বাচকদের। সেক্ষেত্রে ওপেনিং স্লটে আরও একটি বিকল্প বাড়বে নির্বাচকদের কাছে। হয়তো এনামুল হক বিজয়ের সাথে কোনো অবিশ্বাসজ্ঞে ওপেনার নয়, নাঈমকেই খেলানোর কথা চিন্তা করতে পারবে
ম্যানেজমেন্ট। দৃশ্যপটের বাইরে থাকা নাইমই হয়তো হতে পারে টাইগারদের ওপেনিং সংকটের সমাধান।