ওপেনিং সং’কট মুনিম-বিজয়রা ব্য’র্থ, সং’কট কা’টাতে দলে ফিরবে বি’দ্ধংসী হাতিয়ার
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুনিম শাহরিয়ার এবং এনামূলক হক বিজয়ের অধ্যায় একপ্রকার সমাপ্ত বলা যায়। নিজের খেলা পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৫ রান করেছেন মুনিম। বিজয় টুকটাক রান পেলেও, প্রত্যাবর্তনের পর মাত্র দুবার ২০ এর কোটা পার
হতে পেরেছেন। তার চেয়েও বড় সমস্যা এক ধরনের সেলফিশ ক্রিকেট খেলছেন বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০৬ রান তারা করতে নেমে ২৭ বলে ২৭ রান করেন বিজয়। সোহানের ২৬ বলে ৪২ রানের ক্যামিওর পরো ম্যাচটি
জিততে পারেনি টিম বাংলাদেশ। টাইগারদের ম্যাচটি হারার ক্ষেত্রে অন্যতম দা’য়ী বিজয়। ওই মুহূর্তে একটু আগ্রাসী ক্রিকেট খেললেই ম্যাচটি হয়তো জিততে পারত বাংলাদেশ। মুনিম এবং বিজয়কে দল থেকে ছেঁ’টে ফে’লার সাথে সাথেই বিশাল এক
চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে নির্বাচকেরা। নির্বাচকদের হাতে যে আর বিকল্প ওপেনারই নেই। বিকল্প হিসেবে অনেকেই পারভেজ হোসেন ইমনের কথা বলছেন। তবে ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সবাই মনে করেন ইমন এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য
পুরোপুরি প্রস্তুত নন। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের মতো বড় একটি আসরে হু’ট করেই ইমনকে খেলানো উচিত হবে না। এছাড়া খর্বশ’ক্তির জিম্বাবুয়ের বি’পক্ষেও নিজের অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২ রান করে আউট হন ইমন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে
তামিমের অবসর নেওয়ায় মূল স’মস্যাটা বেঁধেছে। তা না হলে হয়তো লিটন এবং তামিমের যোগ্য কাধেই বাংলার ওপেনিংয়ের দায়িত্বটি দেওয়া যেত। এ ওপেনার সংকটে নি’র্বাচকেরা নিশ্চয়ই এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে এ দলের সফরের দিকেই তাকিয়ে
থাকবেন। এবং চোখ রাখবেন সৌম্য সরকারের পারফরমেন্সের উপর। বিশ্বকাপে ইম্প্যাক্টফুল ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য লিটন এবং সৌম্য ছাড়া বোধ হয় সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য কোনো ওপেনারের মধ্যে নেই। দিনের পর দিন সুযোগ দিয়ে লিটনকে
ফেরানো গেলে, সৌম্যকে আরেকটি সুযোগ কেন নয়? বলাই বাহুল্য এক্ষেত্রে সবার আগে সৌম্যর এ দলের হয়ে নিজের সেরা পারফরমেন্সটা দিতে হবে। নিজের সেরা পারফরমেন্সটা দিলেই পরবর্তীতে নির্বাচকেরা তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সামনে এশিয়া কাপে লিটন-সৌম্যকে একসাথে ওপেনিং এ দেখার স্বপ্ন অনেক ক্রিকেট ভক্তেরই। সেটি পূরণ করতে পারবেন তো সৌম্য সরকার?