গ্রীষ্মকালে মাছ চাষে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে

আমাদের দেশে প্রাকৃতিক উৎসে মাছের উৎপাদন কমে গেছে। তাই দিন দিন পুকুরে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া অনেকে বেকারত্ব দূরীকণের জন্য মাছের খামারও করছেন। এসব কারণে মাছের চাষ বেড়ে গেছে। মাছের খামার থেকে লাভবান হতে হলে শীত ও গ্রীষ্মে আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয়। কারণ গরমের সময়ে মাছ চাষে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়।প্রচণ্ড গরমে মাছ চাষে অনেক সমস্যা আরও জটিল রূপ ধারণ করে। মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা ২৪-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিবেশে তাপমাত্রা অত্যাধিক বেশি থাকলে পুকুরের পানিতে অক্সিজেন দ্রবীভূত থাকার পরিমাণ অনেক কমে আসে।গরমের কারণে পুকুরের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তীব্র গরমের ফলে মাছ চাষের পুকুরে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিতে পারে। মাছ ভেসে ওঠা। এছাড়াও পরিবেশগত চাপ সহ্য করতে না পেরে মাছ মারাও যেতে পারে।গরমে মাছ চাষে বিশেষ কিছু সতর্কতার মধ্যে যা যা করতে হবে তা জেনে নিন। মাছ ভেসে উঠলে কিছু টেকনিক প্রয়োগ করতে হবে। সকালে মাছ ভাসলে প্রতি শতকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করতে হবে। আবার দুপুরের পর ভাসলে একই হারে লবণ প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে রাসায়নিক সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যাবে।

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *