চকলেট–ক্যান্ডি খাওয়াই চাকরি, বেতন বছরে ৭৩ লাখ টাকা

মা–বাবারা তো সন্তানকে চকলেট–ক্যান্ডি দিতেই চান না। দাঁতে নাকি ‘পোকা’ হবে। কিন্তু এই চকলেট–ক্যান্ডি খাওয়াও হতে পারে একটা বড় গুণ, ভালো বেতনের চাকরির যোগ্যতা। কানাডার ক্যান্ডি ফানহাউজ নামের একটি কোম্পানি ‘চিফ ক্যান্ডি অফিসার’

পদে লোক খুঁ’জছে। এ জন্য চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। বিজ্ঞাপনটি ২ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ শর বেশি আগ্রহী প্রার্থী আবেদন করেছেন। এর ভেতর আট বছরের ইথান উল্লেখযোগ্য। ইথান চকলেট খেতে খুবই ভালোবাসে। মাত্র আট বছর বয়সেই লিংকডইনে তার একটা প্রোফাইল খুলেছে। সেখানে শ’ক্তিশা’লী জী’বনবৃত্তান্তের

প্রয়োজনীয়তারও উল্লেখ আছে! চাকরির ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি বয়সের যে কেউ আবেদন করতে পারবেন এই পদের জন্য। সে জন্য যোগ্যতাস্বরূপ তাঁর ‘গোল্ডেন টেস্ট বাড’ থাকতে হবে। অর্থাৎ আবেদনকারীর চেখে দেখার ক্ষ’মতা হতে হবে খুবই উন্নত। চকলেটের বিভিন্ন ফ্লেভার আর উপাদানের সঙ্গে পরিচয় থাকতে হবে। আর থাকতে হবে

শ’ক্তিশা’লী দাঁত। মানে দাঁত যেন সহজেই কোনো খাবার খাওয়ার কারণে আ’ক্রান্ত না হয়।এ ছাড়া প্রার্থীর কোনো খাবারে অ্যা’লার্জি থাকা চলবে না। মাসে ৩ হাজার ৫০০ চকলেট চেখে দেখতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন এক শর বেশি চকলেট চেখে দেখাই হবে তাঁর কাজ। তবে এই পদে যিনি কাজ করবেন, তাঁর জন্য দ’ন্তচি’কিৎসকও থাকবে। দাঁত যাতে ভালো থাকে, সেই দায়িত্ব

কোম্পানির। বার্ষিক বেতন ১ লাখ কানাডীয় ডলার বা ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাসিক বেতন ৬ লাখের কিছু বেশি। হার্শে কোম্পানিতে দীর্ঘ সময় ‘ফুড টেস্টার’ হিসেবে কাজ করছেন অ্যানা লি”’ঙ্গা”’রিশ। তিনি অবশ্য বললেন, ‘শুনতে খুবই আনন্দদায়ক মনে হলেও কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর এতটা সহজও নয়। কেননা তার (ওই পদধারীর) ওপর নির্ভর করবে

কোম্পানি কোন চকলেট বানাবে, আর কোনটা বানাবে না। তাকে চকলেট খেয়ে বলে দিতে হবে, চকলেটটি সাধারণ মানুষ পছন্দ করবে কি না। তাকে ব্যক্তিগত রুচি ভু’লে জনমানুষের স্বাদ বুঝতে হবে। জানতে হবে, চকলেটে আর কী উপাদান যোগ বা কম-

বেশি করলে আরও মজাদার হবে। আর দিনে ১০০ চকলেট আপনি টানা কত দিন খেতে পারবেন বলে মনে করেন?’জন হ্যারিসন

এই পদের জন একজন যোগ্য প্রার্থী। ‘ফুড টেস্টার’ হিসেবে তাঁর প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। তিনি খাবার চেখে দেখার জন্য সোনার

চামচ ব্যবহার করেন। কাঠের বা ধাতুর তৈরি চামচ হাতে তোলেন না। কেননা এতে খাবারের স্বাদ কিঞ্চিৎ পরিমাণে হলেও

প্রভাবিত হয়। তিনি জানান, কোন চকলেটে ১২ ভাগ ফ্যাট আছে, আর কোন চকলেটে সাড়ে ১১ ভাগ ফ্যাট আছে, চেখেই তা বলে

দিতে পারেন তিনি। হ্যারিসন যে রেস্তোরাঁয় কাজ করেছেন, সেখানে প্রতিদিন ৬০ রকমের স্বাদের খাবার চেখে দেখতে হতো। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *