চ’মক দিয়ে এবারের এশিয়া কাপের জন্য টা’ইগার ভক্তদের তৈরি সেরা একাদশ

আলমের খান: সামনেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের ল’ড়াইয়ে নামার আগে বেশ না’জেহাল অবস্থায় রয়েছে ক্রিকেট দল। তবে ক্রিকেট দলের চেয়েও বোধহয় বেশি চিন্তিত থাকার কথা নি’র্বাচকদের। একের পর এক ক্রিকেটারের

বাজে ফর্ম, কাকে রেখে কাকে দলে রাখবেন এ চিন্তাতেই মগ্ন রয়েছেন নি’র্বাচক মন্ডলী। নির্বাচকদের জন্য সবচেয়ে ক’ঠিন চ্যালেঞ্জ বোধ হয় সঠিক ওপেনিং কম্বিনেশন নি’র্বাচন করা।ব্যাটিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ওপেনিং সামলাতেন তামিম। টি টোয়েন্টি থেকে তামিম ইকবালের সরে দাঁড়ানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত তার উত্তরসূরী খুঁ’জে বের করতে পারেননি

নি’র্বাচকেরা। এনামুল হক বিজয় এবং মুনিম শাহরিয়ার এই দুজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে তামিমের উত্তরসূরী মনে করা হচ্ছিল। তবে এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে সে আশাও ভে’ঙে চু’রমার হয়ে গিয়েছে। দুজনের খা’রাপ ফর্ম বেশ ভু’গিয়েছে টিম

বাংলাদেশকে। ওপেনিং প’জিশনে অন্য কাউকে না নামিয়ে লিটনের সাথে আফিফকে খেলালে কেমন হয়? সাধারণ জ’নগ’ণ থেকে শুরু করে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ফাহিম রহমানও এমনটাই মনে করেন। ওয়ান ডাউনে সাকিব এবং পরবর্তীতে

যথাক্রমে মুশফিক, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহাদী এবং সাইফুদ্দিনকে খেলানো হবে। ওপেনিংয়ে লিটন আফিফকে নামানোর মূল লক্ষ্য পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে ক’ঠিন সব প্রতিপক্ষের বি’পক্ষে খেলবে

টিম বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারলে দিনশেষে ব্যর্থতা স্বীকার করতেই হবে টা’ইগারদের। লিটন,আফিফ ব্যর্থ হলে সেটা সামাল দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে সাকিব এবং মুশফিককে রাখা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে বিগ হিটিংয়ে পারদর্শী থাকায় ইয়াসিন আলী রাব্বিরও এই একাদশে কোনো বিকল্প নেই। পরবর্তীতে ফিনিশিংয়ে থাকবেন যথাক্রমে

নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহাদী এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। বোলিং আক্রমণে থাকবেন নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম। মূলত উইকেটের উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশ দল তিন পেসার দুই স্পিনার কম্বিনেশন, নাকি তিন স্পিনার দুই পেসার কম্বিনেশনে খেলবে। উইকেটে ঘাস থাকলে তিন পেসার নিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে সেক্ষেত্রে তাসকিন/

শরিফুল, মুস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন তিনজন সুযোগ পাবেন একাদশে। সাইড বেঞ্চে বসতে হবে নাসুম আহমেদকে। তিন স্পিনার খেলানো হলে শেখ মাহাদী এবং সাকিব আল হাসানের সাথে নাসুম আহমেদও একাদশে থাকবেন। সেক্ষেত্রে তাসকিন এবং

শরিফুল দুজনকেই হয়তো বসতে হবে। তবে এখানে একটি ব্যাপার পরিষ্কার যে মুস্তাফিজ এখন আর বাংলাদেশের অটো চয়েজ নেই। ফলে দুই পেসার নিয়ে খেললে হয়তো তাসকিন/শরিফুলের জায়গায় মুস্তাফিজকেও বেঞ্চে বসিয়ে রাখতে পারে

ম্যানেজমেন্ট। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে উইকেট এবং প্রতিপক্ষের উপর। বাংলাদেশের মূল সমস্যা যেহেতু ব্যাটিংয়ে তাই ব্যাটিংয়ে কিছুটা নতুনত্বের ছোঁয়া প্রয়োজন। সাধারণ জ’নগ’ণের অনেকেই ব্যাট হাতে লিটন-আফিফকে ওপেনিংয়ে দেখতে চান।

বিপিএলের একটি মৌসুমে একসাথে ওপেনিংয়ের গুরুদায়িত্ব সামলেছিলেন এই দুজন। দুজনই নিঃ’সন্দেহে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যান। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের ওপেনিং সং’কটের সমাধান হলেই ব্যাটিংয়ের চিত্র অনেকটাই বদলে যাবে। এই জায়গায় লিটন-আফিফকে খেলিয়ে আউট অফ দা বক্স চিন্তা করার সা’হস কি দেখাতে পারবে

ম্যানেজমেন্ট? এতেই হয়তো টা’ইগারদের পুরো খেলার ধরনটাই বদলে যাবে। সম্ভাব্য একাদশ: লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহাদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *