চুক্তি বাতিল হলেও অর্থ ফেরত দিতে হচ্ছে না সাকিবকে
চুক্তি থেকে নিজের নাম প্র;ত্যাহার করলেও সাকিবের সঙ্গে কোনো ধরনের বি’বাদে জ’ড়াবে না বেটউইনার কর্তৃপক্ষ। এমনকি ফেরত দিতে হবে না চুক্তি থেকে পাওয়া অর্থও। বেটউইনার এজেন্সির এক কর্তার বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে দেশীয়
এবং আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম। মূলত সাকিবকে-বিসিবি আলোচনায়, প্রত্যাশার চাইতেও বেশি প্রসার হয়েছে বেটউইনারের। তাই এমন সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানটির।প্রথম দর্শনেই মনে হয়েছিল ঝুঁকিপূর্ণ শর্ট। ১৬ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
যার রাজ, তিনি কীভাবে এমন একটা শর্ট খেললেন তা নিয়ে ত’র্ক হতেই পারে। তবে অধিক রানের আশায় মা’রা বলটা, বাউন্ডারি লাইন পার হওয়ার আগেই তালুবন্দী করলো বিসিবি। মাথা নিচু করে, সাকিবকে তাই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হচ্ছে রিক্ত হাতে।
দিনভর নানা নাটক আর বিসিবির জিরো টলারেন্স নীতির পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন বাংলার ক্রিকেটের পোস্টার বয়। কিন্তু চুক্তি হয়ে যাওয়ার পর আইনগতভাবে সাকিবের তা থেকে সরে আসার
কতটুকু সুযোগ আছে, প্রশ্ন উঠতেই পারে। আবার চুক্তি বাতিলে আর্থিকভাবে কতটা ক্ষ’তিগ্রস্ত হবেন সাকিব কিংবা কত জ’রিমানা দিতে হবে এ নিয়েও শুরু হয়েছে হিসেব নিকেশ। জানা গেছে বেটউইনার সঙ্গে ৯ কোটি টাকার বেশি আর্থিক চুক্তি
হয়েছিল সাকিবের। তবে সাকিব হয়তো জানতেন শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি থেকে সরে আসতে হতে পারে তাকে। বেটউইনার এজেন্সির এক কর্তার বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর, চুক্তির অধিকাংশ টাকা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন সাকিব। যা
ফেরত দেয়ার সম্ভাবনা ক্ষী’ণ। সেই সঙ্গে সাকিব চুক্তি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেও তাতে নাকি কোনো আ’পত্তি নেই তাদের।কোম্পানিটির এমন র’ক্ষণাত্মক মনোভাবের হয়তো কারণ আছে আরো একটা। গেল কয়েকদিনে যে পরিমাণ প্রচার
পেয়েছে বেটউইনার, তাতে টাকার হিসেবে হয়তো তা ছাড়িয়ে যাবে চুক্তি মূল্যকেও। তাইতো বলাই যায়, শেষ পর্যন্ত লাভেরগুড় গেছে বেটউইনারের পেটেই।