পেসারদেরও ছা’ড় দিলেন না, কড়া স’তর্কবার্তা সাকিবের
শ্রীলঙ্কার বি’পক্ষে শুরুটা দারুণ হলেও শেষ পর্যন্ত ধারা ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। তবে একটু আলাদা ছিলেন তাসকিন আহমেদ। অসাধারণ দুটি ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। কিন্তু মুস্তাফিজ আবারও ব্যর্থ প্রত্যাশা
পূরণ করতে। অভিষেকে স্বপ্নের দুটি ওভারের পর ইবাদত দেখেছেন দুঃস্বপ্নের ছবি। মুস্তাফিজ প্রথম ২ ওভারে ১৪ রান দিলেও পরের ২ ওভারে দিয়েছেন ১৮। ইবাদতের প্রথম দুই ওভার ছিল ২-০-১৩-৩, পরের দুই ওভারে তিনি রান দেন ৩৮! অস্ট্রেলিয়ায়
অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে হবে পেসারদের পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। পেসারদের কাছে দলের সেই প্রত্যাশার কথা যেমন জানালেন সাকিব, পাশাপাশি দিয়ে রাখলেন খানিকটা হুঁশিয়ারিও। “বিশ্বকাপের আগে নিউ জিল্যান্ডে
আমাদের আরও চারটা ম্যাচ আছে। এগুলো অনেক সাহায্য করবে। এটা আমাদের জন্য চোখ খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার যে, পেসাররা চা’পের সময় কেমন বোলিং করে। এই ধরনের পিচে, পেসারদের ১২ ওভার বোলিং করতে হবে। আমি বলছি না, ১২
ওভার করতেই হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ পেসারের কাছ থেকে ১২ ওভার প্রত্যাশিত থাকবে। অন্তত ভালো ১০ ওভার প্রত্যাশা করবেন।” “অন্যান্য দেশগুলো হয়তো ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত প্রত্যাশা করে পেসারদের কাছ থেকে। সেখান থেকে আমরা
১০-১২ ওভার প্রত্যাশা করছি। আর এটা পেস বোলারদের ডেলিভার করতেই হবে। যারা ডেলিভার করতে পারবে, তারা থাকবে। যারা পারবে না, আসলে তারা থাকবে না। খুবই সহজ হিসাব এখানে।” বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ
খেলবে বাংলাদেশ দল। নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে সেই আসরে ফাইনালে না উঠলেও সেখানে চারটি ম্যাচ পাবে দল। সাকিবের আশা, সেই টুর্নামেন্টের পর বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হয়ে যাবেন পেসাররা। “দুই ম্যাচে চার জন বোলারকে এখানে
দেখতে পেরেছি। সামনে আরও চারটা ম্যাচ থাকবে। বিশ্বকাপে আশা করি, এমন ৪-৫ জন পেসার পাব, যারা আমাদেরকে ১২-১৪ ওভার দিতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় আমাদের আসলে পেসার বোলারদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হবে।
আশা করি, বিশ্বকাপ আসতে আসতে আমরা ওরকম বোলার পাব, যারা আমাদের ১২ থেকে ১৩ ওভার প্রতি ম্যাচেই দিতে পারবে।” টি-টোয়েন্টিতে সমস্যার অন্ত নেই বাংলাদেশের। অবস্থা যেন ‘স’র্বাঙ্গে ব্য’থা, ও’ষুধ দেব কোথা।’ এর মধ্যেই কয়েকটি
ব্যাপারে দ্রুত উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করেন সাকিব। এর একটি শেষ ৫ ওভারের বোলিং। ইনিংসের শেষ ভাগে যেভাবেই হোক রানের গতিতে বাধ দিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।