বাংলাদেশকে নিয়ে লঙ্কান অধিনায়কের অবজ্ঞার শক্ত জবাব দিলেন রশিদ খান

আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুশীলনের নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আফগানিস্তানের অনুশীলনের শেষের কোনো লক্ষণ নেই। সেন্টার উইকেটে একের পর এক ছয় হাঁকিয়ে যাচ্ছিলেন রহমত শাহ-রহমানুল্লাহ গুরবাজরা। শ্রীলঙ্কাকে

উড়িয়ে এশিয়া কাপে উড়ন্ত সূচনার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে চলছিল তাদের এই অনুশীলন। আজ ৩০ আগস্ট (মঙ্গলবার) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এই ম্যাচের আগে অনুশীলন দেখেই বোঝা

যাচ্ছে তারা কতটা সিরিয়াস। অন্যদিকে বাংলাদেশ আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন সেরেছে। মাঠে ছিলেন না খোদ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যারা আসেন তারাও নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগে শেষ করেন। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে

শ্রীলঙ্কা আছে ব্যাকফুটে। তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। এই ম্যাচ নিয়ে সাকিব আল হাসানের দলকে সহজ প্রতিপক্ষ বলেছেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কিন্তু এমনটা ভাবেন না আফগান তারাকা স্পিনার রশিদ খান। বাংলাদেশের

বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শানাকার মন্তব্য নিতে প্রশ্নে রশিদের ভাষ্য আমরা হংকং হলেও একই প্রস্তুতি নিতাম। অর্থ্যাৎ প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন তারা সবাইকে সমানভাবেই নেন। রশিদ বলেন, ‘আগামীকাল যদি হংকংয়ের বিপক্ষে

খেলতাম তাহলে আমরা একই প্রস্তুতি নিতাম। ভারতের বিপক্ষে খেললেও আমরা একই প্রস্তুতি নিতাম। আপনি যদি প্রস্তুতির বিবেচনায় কথা বলেন তাহলে দল এবং ক্রিকেটারের প্রস্তুতি সবসময় একই থাকবে।’ গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ

শানাকার মন্তব্য, ‘আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বিশ্বমানের। বাংলাদেশ দলে ফিজ (মুস্তাফিজ) খুব ভালো বোলার, সাকিব একজন বিশ্বমানের বোলার। এছাড়া বাংলাদেশ দলে সেভাবে আর কোন বিশ্বমানের বোলার নেই। তাই আমি মনে করি

আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সহজ হবে।’ শানাকার এই মন্তব্য প্রসঙ্গ রশিদ বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এমনটা কখনও ভাবি না যে প্রতিপক্ষ দুর্বল বা শক্তিশালী। ক্রিকেটে আপনি এটা বলতে পারবেন না। এটা এমন একটা

জিনিস যেটা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এমনকি খেলার ফলাফলও না। আমাদের জন্য সবাই কঠিন প্রতিপক্ষ।’ টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের নেতৃত্ব বাংলাদেশ দলের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করেন রশিদ, ‘সাকিব এখন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে

দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এটা অবশ্যই তাদের সহায়তা করবে। তার মতো একজন অভিজ্ঞ কেউ দলকে নেতৃত্ব দেয়া মানে অনেকটা পার্থক্য গড়ে দেবে।’ তবে কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে, এ সব ভাবেন না। মাঠে করে দেখানোইটাকে আসল কাজ

মনে করেন তিনি, ‘আমরা আসলে আমাদের রোল আর কাজটা জানি। আমরা জানি আগামীকাল কি করতে হবে। এটা এমন কিছু যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ফলাফল কি হবে, কি ঘটবে এগুলো নিয়ে আপনি ভাবতে পারবেন না। আমরা তাদেরকে

হারাতে পারবো, আমরা তাদেরকে হারাতে পারবো না। এটা আসলে আমাদের ক্রিকেটারদের হাতে নেই। আমরা শুধু নিজেদের শতভাগ দিতে পারি এবং খেলাটা উপভোগ করতে পারি।’

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *