বাংলাদেশের হা’র নিয়ে এবার মুখ খুললেন ফাহিম, বললেন অবিশ্বাস্য কথা
ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে হা’রলো বাংলাদেশ? দেশ বরেণ্য ক্রিকেট প্রশিক্ষক ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম আফগানিস্তানের কাছে হারের কারণ খুঁ’জে পেয়েছেন। তার বদ্ধমুল ধারণা, শেষ দিকে পেসার মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দিনের দুই
ওভারেই যা স’র্বনা’শ হওয়ার হয়েছে। সাকিব ও মুশফিকের বিকেএসপির শিক্ষক আজ বুধবার জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে অনেক কথার ভী’ড়ে বলে ফেলেছেন, ‘এক কথায় আমরা কালকে ভালো খেলিনি। আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি।
আফগানিস্তানকে হা’রাতে যেমন ভালো ক্রিকেট খেলা দরকার ছিল আমরা তা খেলতে পারিনি- এটা নির্জলা সত্য; কিন্তু আমরা যে জায়গায় গিয়ে যেভাবে ম্যাচটা হেরেছি, সেটা দুঃ’খজনক। হ’তাশাব্যা’ঞ্জক।’ ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘শেষ ৫ ওভারে আফগানদের জিততে দরকার ছিল ৫০ প্লাস রানের। ওই ম্যাচের চালচিত্র এবং উইকেটকে বিবেচনায় আনতে কাজটা সহজ ছিল না। কারণ
তার আগের ১৫ ওভারে আফগানদের ওভার পিছু রান তোলার গতি ছিল অনেক কম; কিন্তু শেষ ৫ ওভারে তারা রান গতি অনেক বাড়িয়ে ম্যাচ বের করে নিয়েছে। পেসারদের অনুজ্জ্বল পারফরমেন্স আমাদের সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটিয়েছে।’ পেসারদের মধ্যে সাইফউদ্দীনকে সেভাবে দো’ষারো’প করতে চান না ফাহিম। ‘কারণ সাইফউদ্দীন বেশ কিছুদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে। ই’নজুরিমু’ক্ত হয়ে মাঠে ফেরার আগে তেমন অনুশীলনও করতে পারেনি; কিন্তু তাসকিন আর মোস্তাফিজের কাছ থেকে
আমি যা আশা করেছিলাম, তারা কিছুই দিতে পারেননি।’ তাসকিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কোচ ফাহিম বলে বসেন, ‘তাসকিনকে আমার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট উপযোগি বোলার মনে হয় না। তাকে টি-টোয়েন্টি খেলানোর আগে আরও ভাবা উচিৎ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক বেশি বৈচিত্র লাগে; কিন্তু তাসকিন বড্ড বেশি প্রেডিক্টেবল। মনে হয় ব্যাটাররা আগেই তার মতিগতি বুঝে
ফেলে।’ ‘ওদিকে মোস্তাফিজও চরম হ’তাশ করেছে। মোস্তাফিজ আসলে যে মানের বোলার, তাকে যে কোনো অধিনায়কেরই কাছে পেতে চাওয়ার কথা। সাকিব কেন, যে কোন অধিনায়ক চাইবেন মোস্তাফিজ এক ওভার বল করলে পরের ওভারও বোলিং
করাতে; কিন্তু এখন মোস্তাফিজ এমন খা’পছা’ড়া ও আলগা বোলিং করছে, যারপর অধিনায়ক আর পরের ওভার তার হাতে বল তুলে দিতে মনে হয় দ্বি’ধাবোধ করে। তাকে দেখে মনে হয় আত্মবিশ্বাসের বড়ই অভাব। খুবই র’ক্ষনা’ত্মক। কোনোভাবে নিজের ৪
ওভারের কোটা শেষ করতে পারলেই যেন বাঁচে।’ ফাহিমের আক্ষেপ, ১২৭ রান ১৫ ওভারে চেজ হয়ে গেলে দুঃ’খ লাগতো না। হ’তাশাও জাগতো না; কিন্তু এক সময় এমন মনে হতে শুরু করলো যে আমরা জিতেও যেতে পারি। সে অবস্থা থেকে আবার পেসাররা যেভাবে শেষ দিকে বেদম মার খেলো তা দেখেও খুব খারাপ লাগলো। ‘দলে একজন বাড়তি স্পিনার থাকলে মনে হয়
ভাল হতো। তারপরও আমার একাদশ সাজানো নিয়ে খুব সমালোচনার কিছু নেই। মনে হয় ঠিকই আছে। মোসাদ্দেককে ধরলে তিনজন স্পিনারতো ছিল। ব্যাকআপ বোলারও রাখা হয়েছে। এখন পেসাররা ক্লিক করতে পারেনি। সেটা তাদের ব্য’র্থতা।’