ভা’রতকে হা’রাতে পারবে না পাকিস্তান, বিশ্বাস ছিল রোহিতের
শুরুতেই লোকেশ রাহুলের বিদায়। এরপর ভারতকে আশা দেখিয়ে ছয় বলের ব্যবধানে নেই রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিও। তাতেও দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরও একটা হা’রের শ’ঙ্কা ভা’রতীয় সমর্থকদের মনে মা’থাচা’ড়া দিয়ে ওঠাটা অমূলক কিছু
ছিল না। তবে রোহিত শর্মার বিশ্বাস ছিল, ভারত এই ম্যাচ হারতে পারে না! সেই বিশ্বাসটাই শেষ পর্যন্ত বাস্তবে পরিণ’ত করে দেখিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া আর রবীন্দ্র জাদেজা। পান্ডিয়া ব্যাটিংয়ে তো ভারতের জয়টা নিশ্চিত করেছেনই, এর আগে
বোলিংয়েও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের বড় রানের আশা। এমন পারফর্ম্যান্সের পর অধিনায়ক রোহিতের ভূয়সী প্রশংসাই কু’ড়ালেন তিনি। রোহিত শুরু করলেন একেবারে তার চো’টে পড়া সময় থেকে। ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘চো’ট থেকে ফিরে
আসার পর থেকে হার্দিককে আর চেনা যাচ্ছে না। দারুণ খেলছে। দলে যখন ছিল না, তখনও সে কী করতে হবে এবং কী করে নিজেকে সু’স্থ রাখতে হবে, সেটা সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করেছে। নিজের ফি’টনেসটাকেও সে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।’ পান্ডিয়া
এখন তারই ফল পাচ্ছেন, বিশ্বাস ভা’রত অধিনায়কের, ‘এখন সে নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করছে। ব্যাটিং নিয়ে তো আলাদা করে কিছু বলার নেই। সে কেমন ব্যাটসম্যান তা আমরা সবাই জানি।’ রোহিত আরও যোগ
করেন, ‘ফিরে আসার পর থেকে ও অনেক বেশি শান্ত। ব্যাটে হোক বা বলে, দুটো বিভাগেই ভাল খেলছে ও। আগের থেকেও বেশি গতিতে বল করতে পারে সে। হার্দিক এখন বাউন্সার দিতেও শিখে গেছে এখন। নিজে কোন পরিস্থিতিতে কেমন পারফর্ম করতে
পারে সেটা ওর পক্ষে আগে বোঝা দরকার ছিল। এখন সেটা নিয়েও কোনো স’মস্যা নেই। ওভারপ্রতি যদি ১০ রান করে প্রয়োজন পড়ে, তাহলে হয়তো আমরা ভয় পেতে পারি, কিন্তু হার্দিক নয়, সে ভয় পাবে না।’ রোহিত এরপর জানালেন, রান তাড়া করার
সময় থেকেই তিনি জানতেন, এই ম্যাচ পাকিস্তান বের করে নিতে পারবে না তাদের মুঠো থেকে। বললেন, ‘আমরা জানতাম পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, আমরা ঠিকই জিতব। সেই বিশ্বাসটা শেষ পর্যন্ত আমাদের ভেতর থাকলে ম্যাচের ফলাফল
আমাদের দিকেই আসবে। আমাদের দলে সবাই জানে তাদের ভূমিকা কী। সেটাই কাজে দিয়েছে এখন।’