ভারত-পাকিস্তানের মহারণে এগিয়ে কে?
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার (২৮ আগস্ট) ক্রিকেট ইতিহাসের দুই পরাশক্তি ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান খেলতে নামবে। ভারত-পাকিস্তানের লড়াই মানেই যেন আকাশছোঁয়া উত্তেজনা। খেলার মাঠকে ছাপিয়ে এই উত্তেজনা প্রকাশ পায়
প্রতিটি ঘরে ঘরে, পাড়া-মহল্লায়, প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ওই বছর
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছিল ভারত। সেই ম্যাচের পর এই প্রথম দুদল একে অপরের মুখোমুখি হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হারের পর
থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। এর মধ্যে ২২ ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। পাকিস্তান খেলেছে ১২ ম্যাচ। জিতেছে ১০টি। বিশ্বকাপের পর থেকে ভারত দারুণ ফর্মে রয়েছে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে রয়েছেন
রোহিত শর্মার ভারত। তাই এশিয়া কাপের শিরোপা জেতার ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে থাকবে ভারত। দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তান কে কতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত: এশিয়া কাপে সবচেয়ে সফলতম দল ভারত। এখন পর্যন্ত মোট ৭ বার
এশিয়া কাপের খেতাব জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মাঠে নামবে রোহিত শর্মারা। ১৯৮৪-র উদ্বোধনী মৌসুমেই ভারত ক্রিকেটে এশিয়ার সেরা হয়। তারপর থেকে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৫, ২০১০,
২০১৬ ও ২০১৮ সালে। এ ছাড়া ভারত এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছে ১৯৯৭, ২০০৪ ও ২০০৮ সালে। ভারত তিনটি ফাইনালেই হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে। তারা ৭টি খেতাবের মধ্যে ৫ বার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। শেষ ২ বার ফাইনালে বাংলাদেশকে
হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তান: এশিয়া কাপে মোটে ২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপ জেতে পাকিস্তান। পরে ২০১২ সালে বাংলাদেশকে হারিয়ে খেতাব জেতে পাকিস্তান। এ ছাড়া
১৯৮৬ ও ২০১৪ সালে ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাকিস্তানকে। ম্যাচ পরিসংখ্যানে ভারত এগিয়ে থাকলেও পাকিস্তানের রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা। ভারত-পাকিস্তান এই মহারণ ম্যাচে চোখ থাকবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানের
বাবর আজমের দিকে আর অনেক দিন ধরে রান সংকটে ভোগা ভারতের বিরাট কোহেলির দিকে। এদিকে দুদলের দুই মূল পেসার ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছে এশিয়া কাপ থেকে, ফলে দুদলকেই তাদের পেসার নিয়ে কিছুটা বেগ পেতে হবে। তবে যাই
হোক, সব মিলিয়ে দারুণ একটি ম্যাচ উপভোগ করতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্ব।