মিরাজের কথা মনেই ছিল না বিসিবির!

মেহেদী হাসান মিরাজ বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলতেন। সেখানে ব্যাটিংই ছিল তার মূল শ’ক্তির জায়গা। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে আসার পরই তার পরিচয় বদলে যায়। মূলত বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। তবে

সাত-আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে কার্যকরী অনেক ইনিংসই রয়েছে তার। অথচ সেই মিরাজের কথা ভু’লে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)! জিম্বাবুয়েতে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক করে পাঠানো হয় নুরুল হাসান

সোহানকে। এ দলে ১৫ সদস্যের মধ্যে মিরাজও ছিলেন। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। তবে মিরাজ শেষ ম্যাচটা খেলতেই পারতেন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সোহানের ই’নজু’রি হওয়ায় মিরাজের একাদশে ঢোকার সম্ভাবনাই জো’রালো ছিল। কিন্তু বিসিবি

তখন বেশ বড় চ’মকই দেখায়। বিশ্রামে থাকা মাহমুদউল্লাহকে হু’ট করে দলে অন্তর্ভুক্ত করে। নিয়মিত টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রিয়াদকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল কারণ আগের সিরিজগুলোতে টানা ব্যর্থ ছিলেন তিনি। তাকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও

বড় চ’মক দেখায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ, রিয়াদ দলে ফিরলেও নেতৃত্বে ছিলেন না। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে অধিনায়ক করা হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। যার কিনা এই সিরিজের আগে দলে জায়গা পাওয়া নিয়েও ছিল শ’ঙ্কা।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) আরও বড় চমক নিয়ে হাজির হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। রিয়াদকে হু’ট করে কেন

ফিরিয়ে আনা হলো জানতে চাইলে পাপন বলেন, এটা আসলে ওরা (টিম ম্যানেজমেন্ট) বলতে পারবে বা ওরা আসলে ওদের

সঙ্গে কথা বলে বলা যাবে। হ’ঠাৎ করে সোহানের ই’নজু’রিতে ওরা এ’লোমে’লো হয়ে গেছে। হওয়ারই কথা। কারণ, ও পারফর্মার। পারফর্ম করছিল। ওই জায়গায় কে খেলবে ওই বিকল্প ওদের কাছে ছিল না। রিয়াদ ওই প’জিশ’নে খেলে এই জন্যই হয়তো

নিয়েছে। ওদের ওইখানে ওপেনার ছিল কিন্তু ওই প’জিশ’নে খেলার মতো খেলোয়াড় ছিল না। সেই জন্য ওকে নিয়েছে। এদিকে সোহানের প’জিশ’নে খেলার মতো বিকল্প কেউ ছিল না- বোর্ড সভাপতি এমন কথা জানালে সেসময় মিরাজের কথা জানান

সাংবাদিকরা। আর তাতেই যেন ট’নক নড়ে বিসিবি সভাপতির। আমতা আমতা করে তিনি জবাব দেন, মিরাজ, মিরাজ মানে, হ্যাঁ,

মিরাজ ছিল। এটা আপনারা ভালো বলেছেন। মিরাজকে তারা কেন নেয় নাই জানি না। কেন নেয় নাই, এটা আমি বলতে পারবো

না আসলে।

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *