যাদের সাথে বিয়ে করা হা’রাম

বিয়ের পূর্বে পাত্র-পাত্রি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামে কিছু বি’ধিনি’ষেধ রয়েছে।

যাদের সাথে বিয়ে করা হা’রাম

১. নিজের সন্তানের সাথে। যেমন: ছেলে, পােতা, পরপােতা, নাতি, নাতির ছেলে ইত্যাদি যতই নিচের দিকে যাক না কেন।

২. বাপ, দাদা, পরদাদা, নানা, পরনানা ইত্যাদি যতই উর্ধ্বে যাক না কেন।

৩. ভাই। (আপন বা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয়)। মাতা ও পিতা উভয়ে ভিন্ন হলে সেরূপ ভাইয়ের সাথে বিয়ে জায়েয।

৪. ভাতিজা।

৫. ভাগিনা।

৬. মামা, অর্থাৎ, মায়ের আপন বা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় ভাই।

৭. চাচা, অর্থাৎ, পিতার উপরোক্ত তিন প্রকার ভাই।

৮. জামাই, অর্থাৎ, মেয়ের সাথে যার বিয়ের আকদ হয়েছে।

৯. মায়ের স্বামী, অর্থাৎ পিতার মৃ’ত্যুর পর মা যদি দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে এবং তার সাথে স’হবা’স হয়।

১০. সতীনের পুত্র।

১১. আপন শ্বশুর, তার পিতা, তার দাদা, তার পরদাদা ইত্যাদি।

১২. বোনের স্বামীর সাথে, যে পর্যন্ত বোন তার বিয়েতে থাকে।

১৩. ফুফা এবং খালু, যে পর্যন্ত ফুফু ফুফার এবং খালা খালুর বিয়েতে থাকে।

১৪. নসবের দিক দিয়ে অর্থাৎ, জ’ন্ম ও জা’তিগত দিক দিয়ে যেসব আত্মীয় ও আপনজনের সাথে বিয়ে হা’রাম। যেমনঃ বাপ, দাদা, ছেলে, চাচা, মামা)। দুধের দিক দিয়েও সেসব আত্মীয়ের সাথে বিয়ে হারাম। যেমনঃ দুধবাপ, দুধভাই, দুধপোতা প্রমুখ)

১৫. অন্য কোন ধর্মের পুরুষের সাথে।

১৬. কারও স্ত্রী থাকা অবস্থায় বা তালাকের পর ইদ্দতের সময় অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ হা’রাম।

১৭. কোন পুরুষ কোনো নারীর সাথে যেনা করলে ঐ নারীর মা ও মেয়ে (বা মেয়ের মেয়ে অর্থাৎ, নিন্ম দিকের যেকোনো মেয়ে) এর সাথে ঐ পুরুষের বিয়ে দুরুস্ত নেই।

১৮. কোনো  নারী কামভাবসহ বদ নিয়তে অপর কোনো পুরুষের শরীর স্প’র্শ করলেও উপরোক্ত হুকুম। তদ্রূপ  কোনো পুরুষ কামভাবসহ বদ নিয়তে অপর কোনো ‘নারীর শরীর স্প’র্শ করলেও ঐ পুরুষের সন্তানগণ ঐ নারীর জন্য হারাম হয়ে যায়।

১৯. ভু’লব’শত কামভাবসহ কন্যা বা শাশুড়ির গাঁয়ে হাত দিলে স্ত্রী (অর্থাৎ, ঐ কন্যার মা) বা ঐ শাশুড়ির মেয়ে চি’রত’রে হা’রাম হয়ে যায়। তাকে তালাক দিয়েই দিতে হবে।

২০. কোনো ছেলে মুকতলবে বিমাতার শরীরে হাত লাগালে বা বিমাতা মুকতলবে বিপুত্রের শরীরে হাত লাগালে ঐ নারী তার স্বামীর জন্য একেবারে হা’রাম হয়ে যায়।

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *