রোহিত-বাবরের মতো সেই ভু’ল করতে চান না সাকিব

নিজেদের প্রথম ম্যাচ দেরিতে থাকায় দুবাই পৌঁছে কয়েকদিন সময় পেয়েছেন সাকিবরা। এই সুযোগে নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পেয়েছেন টা’ইগাররা। এবারের টি-২০ আসরে প্রতিটি ইনিংসেই শেষ ওভারের বল করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁ’ধে

দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে শেষ ওভার শুরু করতে না পারলে তখন যত ওভার বাকি থাকে, তার পুরোটা সময় বল করতে হয় বৃত্তের ভেতর পাঁচ ফিল্ডার রেখে। আইসিসি এই শাস্তির নাম দিয়েছে ‘ইন-ম্যাচ পে’নাল্টি’। এবারের এশিয়া কাপে ভা’রত-পাকিস্তান

ম্যাচে দুই ইনিংসেই ইন-ম্যাচ পেনাল্টির ঘটনা ঘ’টেছে। ভা’রতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে ডেথ ওভারে ফিল্ডিং করতে হয় ৩০ গজের ভেতর পাঁচ ফিল্ডার রেখে। ক্ষ’তিটা বেশি হয়েছে বাবরদেরই। রান তা’ড়ার

হা’ড্ডাহা’ড্ডি ল’ড়াইয়ে শেষ ৩ ওভারে একজন ফিল্ডারকে সীমানায় রাখতে পারেনি পাকিস্তান। ভা’রতও সে সুবিধা নিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। পাকিস্তানও অবশ্য এই একই সুবিধা পেয়েছে নিজেদের ব্যাটিংয়ে। তখন ভা’রতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও

শা’স্তি হিসেবে ৩০ গজের মধ্যে একজন ফিল্ডার বেশি রেখে বোলিং করাতে হয়। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই ভু’ল করতে চান না। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং শেষ করাও আছে তার প্রস্তুতির

মধ্যে। অধিনায়কের ডা’কে সা’ড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বোলার ও ফিল্ডাররা। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন ‘ইন-ম্যাচ পে’নাল্টি’ এড়াতে। দুবাইয়ে আসার আগে ২১ ও ২২ আগস্ট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিজেরা ভাগ হয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে

বাংলাদেশ। একটাতে বোলাররা ও’ভার শেষ করেছিলেন নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট আগে, অন্যটি ছয় মিনিট আগে।

আম্পায়ারদেরও সময়ের ব্যাপারে ক’ড়াক’ড়ি হওয়ার অনুরোধ জানান সাকিব নিজেই। গতকাল সেই প্রস্তুতি ম্যাচের উদাহরণ

টেনে এক আম্পায়ার বলছিলেন, ‘সাকিব আমাদের বলছিল, একটুও ছাড় দেবেন না। আমি ইনিংস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে চাই।’ সাকিবের ক’ড়াক’ড়িতে দলের বাকিরাও স’তর্ক হচ্ছেন। ফাস্ট বোলার ইবাদত হোসেনের কথাই ধরুন। লম্বা

রানআপের জন্য এই পেসারের সময় একটু বেশিই লাগে। আজকাল তিনিও তিন-সাড়ে তিন মিনিটে ওভার শেষ করছেন।

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *