সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ক্যাচ মিসের খেসারত দিল আফগানিস্তান
চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটের নিশাল বড় বাবধানে হা’রিয়েছে শ্রীলংকা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের খুব বেশি রান করতে পারেনি। ৬ উইকেট হা’রিয়ে মাত্র ১৭৬ রান সংগ্রহ সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জ’বাবে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয়লাভ করেছে শ্রীলংকা।
এই ম্যাচে টস হে’রে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় আফগানিস্তান। ১৬ বলে ১৩ রান করে হজরতউল্লাহ জাজাই ফিরলে ভা’ঙে এই জুটি।এরপর ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়েন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ বলে ৪০ রান করে ইব্রাহিম আউট হন দিলশান মাদুসাঙ্কার বলে। শুরু থেকে আ’ক্রমণা’ত্মক
খেলতে থাকা গুরবাজ বেশ ভালো সংগ্রহই গড়েন। ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৫ বলে ৮৪ রান করে আশিথা ফার্নান্দোর স্বীকার হন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হা’রিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা। শুরুতে কিছুটা ধীরস্থিরভাবে খেললেও সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলে নেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। ১৯ বলে ৩৭ রান করে কুশল মেন্ডিস ফিরলে ভা’ঙে এই জুটি।
শ্রীলঙ্কার রান তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন গুনাতিলাকা ও ভানুকা রাজাপক্ষে। ২০ বলে ৩৩ রান করে গুনাতিলাকা ও ১৪ বলে ৩১ রান করেন ভানুকা। ৫ বল আগেই সহজ জয় পায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে কু’শল মেন্ডিস একাই পেয়েছিলেন ৫টি জীবন। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই বলে বেঁচে যান লঙ্কান দুই ব্যাটার। ইনিংসের ১২তম ওভারে মোহাম্মদ নাবি
চারিথ আসালাঙ্কাকে (১৪ বলে ৮) বোল্ড করলে ৯৪ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্রুত আরও দুটি উইকেট হা’রালে বেশ বিপদেই পড়ে যেতো লঙ্কানরা। নাবির ওই ওভারেই শেষ বলে উঠেছিল ক্যাচ। কিন্তু গুনাথিলাকার সেই ক্যাচ ফাইন লেগে ফেলে দেন করিম জানাত। তার পরের ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।
আম্পায়ারও আবেদনে আঙুল তুলে দেন। ১৬তম ওভারে নাভিন উল হকের ওপর চড়াও হন ভানুকা রাজাপাকসে। প্রথম তিন বলে দুটি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা হাঁ’কান বাঁ’হাতি এই ব্যাটার। ওভারের শেষ বলেই আউট হতে পারতেন রাজাপাকসে। এবার ডিপকভারে ড্রপ হয় সহজ ক্যাচ।